পরিবেশে অবস্থিতি কতগুল বস্তুর উপস্থিতি যা কিছু কিছু মানব দেহের প্রতিরক্ষাতন্ত্রের অতিসংবেদনশীলতার কারণে সৃষ্টি হয় যা দেহে বিরূপ প্রক্রিয়াকে বুঝায় । এই বস্তুগুলি অধিকাংশ ব্যাক্তির সাধারণত কোন সমস্যা করেনা এই বিরূপ প্রক্রিয়াগুলিকে একত্রে অ্যালার্জি বলে উদাহরণঃ হে জ্বর, খাদ্যে অ্যালার্জি, অ্যালার্জিজনিত ত্বকপ্রদাহ  আর এই অ্যালার্জির কারণে সৃষ্টি হয় হাঁপানি, চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি, চোখ লাল হয়ে যাওয়া , রাইনোরিয়া বা নাকদিয়ে পানি ঝরা, এবং নানান খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করা ।

অ্যালার্জির কারণঃ

  • পোষা প্রাণীর পশম, প্রস্রাব পায়ীখানা ও লালা জাতীয় পদার্থ যেমনঃ বিড়াল , কুকুর ও বিভিন্ন পাখি ।
  • ঘরের ধুলাবালি ও পুরনো কাপড়ে থাকা ময়লা থেকে অ্যালার্জি হয়
  • স্যাঁতস্যাঁতে মাটি ও কার্পেট থেকে বা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয় ।
  • বিশেষ কোন খাবার খেলে গরুর মাংস, হাঁসের ডিম, পুঁইশাক, কচু শাক ইত্যাদি ।
  • বিভিন্ন মৌসুমে ফুলের পরাগ বা পুষ্পরেণু ও কীটপতঙ্গের হুল এবং ঔষদের তীব্র প্রতিক্রিয়ার কারণে অ্যালার্জি হয় ।
  • হরমোন ইনজেকশন ও চুলে কলপ দিলে হতে পারে ।
  • পিতা-মাতার অ্যালার্জি থকলে সন্তানের অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৬০% শুধু পিতা অথবা মাতার ক্ষেত্রে সম্ভবনা ৩০% যদি পিতা-মাতা না থাকে তাহলেও ১৫% অ্যালার্জি হতে পারে ।
  • কীটপতঙ্গের কামড়ে স্থানটি ক্ষত হয় ও চুলকায় এবং ফুলে যাই যেমনঃ মশা, বেলেমাছি, মৌমাছি, ভীমরুল, বোলতা ইত্যাদি পতঙ্গের কামড়ে অ্যালার্জি হয় ।
Asthma Problem
asthma

অ্যালার্জির প্রতিকারঃ

  • আমাদের যে সব বস্তুর সংস্পর্শে গেলে অতিসংবেদনশীলতা সৃষ্টি হয় সেসব বস্তুর নিকট যাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখা ।
  • কিছু কিছু ক্ষেত্রে অতিসংবেদনশীলতার চিকিৎসায় অ্যালাজেরন ইমিউনোথেরাপি ব্যবহার করা হয় ।
  • যাদের অল্পশীতে সর্দি, কাশি , গলা ব্যাথা ইত্যাদি হয় তাদের ঘাবড়ানোর কিছু নেই । বেশী করে পানি পান করলে এবং কিছু স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললেই রক্ষা পাওয়া যাই ।
  • দিনে ৩/৪ বার পরম পানির ভাপ নেওয়া ও কমলা লেবু বা পাতি লেবুর রস খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
  • তাল মিছরি , লবঙ্গ  অথবা আদা মুখের ভিতর রাখা
  • তুলসী বা বাসক পাতার রস মধুর সাথে মিশ্রিত করে খেতে হবে ।
  • ধুলাবালির মধ্যে মার্ক্স ব্যবহার করা ।
  • উপরোক্ত ব্যবস্তায় যদি অবস্থার অবনতি হয় তবে ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
  • অ্যালার্জি সাধারণত পরিবেশগত কারণে হয় এবং এটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকলে এহার উপশম লক্ষ করা যাই ।

অধিকংশ মানুষ অতিসংবেদনশীলতায় ভুগছে । উন্নত বিশ্বে প্রায় ২০% মানুষ অতিসংবেদনশীলতাজনিত রাইনাইটিস বা সর্দিতে ভুগছেন । প্রায় ৬% মানুষ অন্তত খাদ্যে অতিসংবেদনশীলতা রয়েছে , ২০% ক্ষেত্রে অ্যাটপিক ডামাটাইটিস হয় । ১-১৮% বাক্তির অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হয় বিভিন্ন দেশে । ০.৫-২% অ্যানাফিল্যাক্রিস হয় । অ্যালার্জি রোগ দিন দিন বাড়ছে এবং এই রোগের সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয় ১৯০৬ সালে । (Clemens von  Pirquet)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten − two =